A ও B মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে ১২ ও ৯। মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো তিনটি কক্ষপথে B মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো দুটি কক্ষপথে বিন্যস্ত। B মৌলের পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা ১০।
সোডিয়ামের (Na) ভরসংখ্যা 23 বলতে বুঝায়, সোডিয়াম পরমাণুতে প্রোটন ও নিউট্রনের মিলিত সংখ্যা 23; যেখানে Na এর প্রোটন সংখ্যা 11 ও নিউট্রন সংখ্যা 12. যাদের সমষ্টি 23
Na' বলতে ধনাত্মক আধান যুক্ত আয়ন বা ক্যাটায়ন বুঝায়। কোনো পরমাণু যখন এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে তখন পরমাণুটি ধনাত্মক চার্জে তথা ক্যাটায়নে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে Na পরমাণু। টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na' ক্যাটায়নে পরিণত হয়েছে; তাতে Na এর ইলেকট্রন সংখ্যা (11-1) = 10টি।
উল্লেখিত মডেলটি হলো রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল। নিচে মডেলটির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো: ১. পরমাণুতে ধনাত্মক আধান ও ভর নিউক্লিয়াস নামক একটি ক্ষুদ্র জায়গায় অবস্থান করে। ২. পরমাণুর বেশির ভাগ জায়গা ফাঁকা। ৩. ঋণাত্মক আধানযুক্ত কণার তেমন কোনো ভর নেই। ৪. ঋণাত্মক আধানযুক্ত কণা নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। ৫. এই মডেলটিকে সৌরজগতের সাথে তুলনা করা হয়। তাই এই মডেলকে Solar System বা সৌর মডেল বলে।
উদ্দীপকে উল্লেখিত রাদারফোর্ডের মডেলে সৌর মডেল অনুসরণ করা হয় কি-না তা নিচে যাচাই করা হলো:
১. সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে সূর্য এবং সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহগুলো বিভিন্ন কক্ষপথে একইভাবে ঘুরতে থাকে। তেমনি পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কক্ষপথে এক বা একাধিক ইলেকট্রন ঘুরতে থাকে। ২. সৌরজগতে সূর্যের ভর গ্রহগুলোর প্রত্যেকটির ভরের তুলনায় অনেক বেশি। তেমনি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভর প্রত্যেকটি ইলেকট্রনের ভরের তুলনায় অনেক বেশি। ৩. সৌরজগতের বেশির ভাগ স্থান ফাঁকা, তেমনি পরমাণুরও বেশির ভাগ জায়গা ফাঁকা। ৪. সৌরজগতের আয়তনের তুলনায় গ্রহগুলো ও সূর্যের মোট আয়তন খুবই কম। তেমনি পরমাণুর আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনগুলোর মোট আয়তন নগণ্য। ৫. সৌরজগতের গ্রহগুলোর কক্ষপথ সামান্য উপবৃত্তাকার। সূর্য এ উপবৃত্তের কেন্দ্রে থাকে। পরমাণুতেও ইলেকট্রনগুলোর কক্ষপথ বৃত্তাকার ও উপবৃত্তাকার হয় এবং নিউক্লিয়াসটি বৃত্ত বা উপবৃত্তের কেন্দ্রে থাকে।
অতএব, উপরোক্ত বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় উদ্দীপকে উল্লেখিত মডেলে সৌর মডেল অনুসরণ করা হয়।
পারমাণবিক সংখ্যা বলতে কোনো পরমাণুর প্রোটন সংখ্যাকে বুঝানো হয়। ক্লোরিনের পারমাণবিক সংখ্যা ১৭ বলতে বুঝায়, ক্লোরিনের একটি পরমাণুতে ১৭ টি প্রোটন আছে। একটি পরমাণুতে যেহেতু প্রোটন ও ইলেকট্রন সংখ্যা সমান তাই বোঝা যায়, ক্লোরিনের একটি পরমাণুতে ১৭ টি ইলেকট্রনও আছে।